বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া ব্যতীত কোনো শর্তে নির্বাচনে যেতে রাজি নয়। এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছ, কোন দল নির্বাচনে এলো বা না এলো সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এদিকে নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে নির্ধারিত কোনো দিন তারিখ না জানালেও মোটামুটি খসড়া সময় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংসদ নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হলেও, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রতি বছরই কোনো না কোনো কারণে অনুষ্ঠিত হয়। যেমন, জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এই মাসের ১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। তারপরে জাতীয় পরিষদের দুটি উপনির্বাচন রয়েছে। ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধরে রাখতে নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাই আসল। তিনি বলেন, ‘বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন।
সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুটি আসনের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন ও সাধারণ সমস্যা নিয়ে ৬৪ জেলার ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি। এছাড়া বৈঠকে বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বড় পরিসরে বর্তমান কমিশনের এটাই প্রথম বৈঠক।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে বিএনপি চাইছে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আর এই দাবি আদায়ের জন্য বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও মাঝে মাঝে আন্দোলন কিংবা সমাবেশ করতে শুরু করেছে বিএনপি এবং এর সহযোগী দলগুলো।