বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ব্যপক হারে বৃদ্ধি পে্যেছে অনলাইনে পন্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রবনতা। তবে সম্প্রতি দেশে গড়ে উঠা বেশ কিছু অনলাইন ভিত্তিক-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কিছু অনলাইন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমানের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ জাতীয় সংসদে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এটা সত্য। কিন্তু বাংলাদেশের ই-কমার্স গত দুই মাস আগে ভয়া/ব/হ ভাবে আলোচনায় এসেছে। আজকে ই-কমার্সের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এর দায়বদ্ধতা নাই। এর জবাবদিহিতা নাই। তিনি বলেন, আজকে অনলাইন কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রসার ঘটছে। এটা সত্য। কিন্তু অনলাইনে যে গতিতে প্রসার ঘটছে তার পাশাপাশি ডিজিটাল আকারে দুর্নীতি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় এর ওপর জাতীয় সংসদে আনিত প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশিদ এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা উল্লেখ করে বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় অর্জন। এই অর্জন নিয়ে পাঁচ মিনিটে আলোচনা করা সম্ভব নয়। স্বাধীনতা-উত্তর এবং স্বাধীনতা-পূর্ব বঙ্গবন্ধুর যে কর্মকাণ্ড ছিল তা আলোচনা করার জন্য বহু সময়ের দরকার। বিএনপি দলীয় এই সদস্য বলেন, নিঃসন্দেহে এই পুরস্কারের মাধ্যমে যেমন আমরা গৌরবান্বিত হচ্ছি, পাশাপাশি আমরা যে সমস্ত বিষয়গুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি সেগুলো নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার। আজকে গণতন্ত্র সূচকের অবস্থা কী? ১০০টি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব সম্মেলন হবে। সেখানে বাংলাদেশের নাম নাই। এগুলো হতা/শা/র, এগুলো উদ্বেগের, এগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা হওয়া উচিত। কেন আমরা আজকে এই অবস্থায় যাচ্ছি? এসব নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি দুই মাস আগেও স্বাস্থ্যখাতের কথা বলেছিলাম সংসদে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমি দেখি নাই। সত্যকে স্বীকার করা বড় কঠিন উল্লেখ করে হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে আমাদের দেশের অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। টানেল হচ্ছে। হাইওয়ে হচ্ছে। অনেক কিছুই হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত সংসদে আইন পাস করছি। কিন্তু আজকে সংকটগুলো থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবো এই জায়গাগুলো আমাদের ঠিক করতে হবে। এই জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই আজকে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে এগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে। তামাশা করা হচ্ছে। আমি মনে করি শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ আলোচনা হওয়া দরকার।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠন গুলোর অনিয়মের কর্মকান্ড গুলো প্রকাশ্যে আসতেই এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে দেশের সরকার। এবং এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রনে দায়িত্ব প্রাপ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশান দিয়েছে। এবং এই বিষয়ে প্রনয়ন করেছেন বেশ কিছু নীতিমালা।