ময়মনসিংহের বালুকায় সাংবাদিকদের বেঁধে বেদম প্রহারের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিপন। সোমবার সকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে হবিরবাড়ীতে আয়োজিত মানববন্ধনে মাইকে প্রকাশ্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বনভূমি দখলের খবর দিতে ঘটনাস্থলে গেলে সাংবাদিকদের বেঁধে প্রহারের নির্দেশ দিয়েছেন যুবলীগের নেতা রেজাউল করিম রিপন। তিনি হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সোমবার সকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নে প্রস্তাবিত ইকোপার্ক নির্মাণের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি মাইকে এ বক্তব্য দেন। সাবেক যুবলীগ নেতার বক্তব্যের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভালুকা প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, কোনো সাংবাদিক অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সবাইকে কম্বল পিটিয়ে আদেশ করার উপায় নেই। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং ক্লাবে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাদুল হক পারুল বলেন, যুবলীগ নেতা আমাদের সংগঠনের নয়। সাংবাদিকদের এমন প্রহারের ঘোষণা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকরা আমাদের বন্ধু। এ বিষয়ে রেজাউল করিম রিপন বলেন, আমি সব সাংবাদিকদের বলিনি। কয়েকজন সাংবাদিককে বলেছি। ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিচ উদ্দিন জানান, ইউনিয়ন যুবলীগের বরখাস্ত সভাপতি রেজাউল করিম রিপনের বিরুদ্ধে বনভূমি দখলের মামলা রয়েছে। তিনি একটি নিবন্ধিত বন দখল। এর আগে সকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নে সীডস্টোর এলাকায় প্রস্তাবিত ইকোপার্ক নির্মাণের প্রতিবাদে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধন করে স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু, রেজাউল করিম রিপনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ। সাবেক যুবলীগ নেতার হুমকিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।