বাংলাদেশে শ্রমিক আন্দোলনের স/হিংস দমন, বাংলাদেশে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের ওপর চলমান দ/মন-পী/ড়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। .
সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতি এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতিতে সম্প্রতি সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেছেন, যারা শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করে, শ্রমিকদের হু/মকি বা ভয় দেখায় তারা প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের সংগ্রামের কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাঁচ পোশাক শ্রমিক নি/হত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?
জবাবে, ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত সপ্তাহে দেওয়া বক্তৃতাটি থেকে বোঝা যায় যে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার সুরক্ষা ও প্রচারের জন্য সরকার, শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সাথে নিজেদের জড়িত রেখেছে।বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। আপনার প্রশ্নের উত্তরে, আমি আবারও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পুরো বক্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিক্ষোভে প্রা/ণহানি ও স/হিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখপাত্র যোগ করেছেন, “আমরা ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, সহনশীলতা এবং শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কর্মকাণ্ডের অপরাধীকরণের দাবিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের নিন্দা জানাই।” শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের উপর চলমান ক্র্যাকডাউন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমাদের নীতি হচ্ছে- কোনো প্রকার প্রতিশোধপরায়ণতা , প্র/তিহিংসা বা ভয়ভীতি ছাড়াই সরকারকে শ্রমিকদের অবাধে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মালিকদের কাছে তাদের দাবি জানানোর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও, মিলার আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল স্থানে এই মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মো. তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হ/ত্যা, গণগ্রেফতার ও অপহরণসহ বিরোধীদের ওপর দ/মন-পী/ড়ন চালিয়ে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বানও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দল। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একদলের ওপর অন্য দলের পক্ষপাতী নয়, সেহেতু বাংলাদেশে এই একদলীয় স্বৈরাচার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা এক পক্ষের উপর অন্য পক্ষের প্রাধান্য দেই নাই। বাংলাদেশীরা নিজেরা যা চায়, আমরাও তাই চাই। আর তা হলো: শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। আমরা তাদের সেই লক্ষ্য অর্জনের আহ্বান জানাই যেখানে তারা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে একত্রে কাজ করে, যাতে বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।