মার্কিন বারো জন সিনেটর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের ক্রমাগত হয়রানি বন্ধ করার জন্য এবং সরকারের সমালোচকদের লক্ষ্য করে বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে আজ এই আহবান জানানো হয়।
শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়ে , প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে বাংলাদেশে অধ্যাপক ইউনূসকে ব্যাপকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সিনেটররা আরো বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলি ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রমে নানা অনিয়ম পেয়েছে, যার মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড সহ আপিলের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
এই স্বনামধন্য সংস্থাগুলির মতে ফৌজদারি কার্যধারার গতি এবং বারবার ব্যবহার রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত যা বিচার ব্যাবস্থার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। অধিকন্তু, ইউনূসের বারবার এবং নিরন্তর হয়রানি প্রমান করে ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধমূলক পরিবেশে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সদস্যরা কি ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে প্রতিনিয়ত।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সাধারণ স্বার্থে ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক। তবে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ন সম্পর্ক অব্যবহত রাখতে অধ্যাপক ইউনূসের হয়রানি বন্ধ করা এবং অন্যান্য সরকার সমালোচকদের বাকস্বাধীনতার অধিকার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করিয়ে দেওয়া হয় সেই চিঠিতে ।”
যৌথ চিঠিটি সই করা মার্কিন সিনেটররা হলেন, সিনেটর মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন এবং মার্কিন সিনেটর টড ইয়ং সহ মার্কিন সিনেটর টিম কেইন , ড্যান সুলিভান , জেফ মার্কলে , জিন শাহীন , এড মার্কি, শেরোড ব্রাউন , পিটার ওয়েলচ , শেলডন হোয়াইটহাউস , রন ওয়াইডেন , এবং কোরি বুকার ।