আজ বিএনপি রংপুরে গনসমাবেশের আয়োজন করে আর এই সমাবেশকে সফল করার জন্য বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেন সমাবেশে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন আ.লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারের পতনই আজকের গণসমাবেশের মূল লক্ষ্য। এই সরকারকে উৎখাত করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এবং আগামি নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হবে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় সরকার গঠিত হবে।
শনিবার বিকেলে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশ দেশ-বিদেশের মানুষ দেখেছে। এই সরকারের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই বাকশাল সরকার দেশকে শেষ করে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে গরিব বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কালভার্ট, ব্রিজ, রাস্তা, এমনকি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরবাড়ির টাকাও তারা চুরি করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই বাকশালী সরকার সব খেয়ে ফেলেছে। ছোটবেলায় মুনতাসীর মামুনের নাটক ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’ দেখেছিলাম। সেখানে প্রধান চরিত্র যিনি ছিলেন তিনি শুধু খায়। প্রতিটি খাবার শেষে কাগজ খেয়ে ফেলেছে। দলিল-দস্তাবেজ খেয়েছে। এমনকি টেবিল-চেয়ারও খেয়ে ফেলেছে। এই সরকারও সব খেয়ে ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খেতে না পেরে রাস্তায় নেমে পড়ে। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ টাকা কেজি চালের বদলে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকায় চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। মানুষ সবজি কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষণ।
সমাবেশের আগে বাস ধর্মঘটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলকে ভয় পায় না। তাহলে দুদিন আগে গাড়ি বন্ধ করেছেন কেন?’
প্রসংগত, খুলনার সমাবেশের দিন ও আগের দিন সকল ধরনের গনপরিবহন চলাচল স্থগিত করে পরিবহন মালিক সমিতি। এবার বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে রংপুরে পরিবহন বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক সমিতি। তারা দাবি করেন যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে বিএনপি দাবি করছে, সমাবেশে নেতাকর্মীরা যাতে যোগ না দিতে পারে সেই উদ্দেশ্যে পরিবহন ধর্মঘট করা হয়।