দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে রয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তিনি মূলত মা/দ/ক কান্ডে গ্রে/ফ/তার হয়ে প্রায় ২৮ দিন কারাবন্ধী ছিলেন। তবে আরিয়ান গ্রেফ/তা/রের পর থেকে ভারতের রাজনৈতিক নেতারাও বেশ আলোচনায় উঠে এসেছেন। সম্প্রতি শাহরুখ পুত্রের গ্রে/প্তা/র নিয়ে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানালেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক।
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রে/প্তা/র নিয়ে বো/মা ফাটালেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ও এনসিপি নবাব মালিক। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন, মোটা মুক্তিপণের জন্য আরিয়ানকে অপহ/র/ণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এনসিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে এই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। নবাব মালিক বলেন, ‘আরিয়ান খান প্রমোদতরীর টিকিট কেনেননি। তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা নামে দুজন। এটা ছিল অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা। গোটা পরিকল্পনায় বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ জড়িত ছিলেন। মন্ত্রীর দাবি, ফাঁ/দ পেতেছিলেন বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজের ঘনিষ্ঠ। আরিয়ানকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অপহরণ ও মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা তোলার চেষ্টা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ১৮ কোটিতে রফা হয়। মেটানো হয় ৫০ লাখ টাকা। তবে একটা সেলফি গোটা পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।’
তবে কারও নাম নেননি নবাব মালিক। আরিয়ান গ্রে/প্তা/র হওয়ার পর কেপি গোসাবি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার একটি সেলফি ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। সে দিকেই ইঙ্গিত করেন এই প্রবীণ এনসিপি নেতা। এর আগে শনিবার আরিয়ানের মাদক মামলায় এনসিপি নেতা সুনীল পাটিলের জড়িত থাকার অভিযোগ করেন মোহিত কম্বোজ। সেই মোহিতকেই এদিন ষড়যন্ত্রের মূলচক্রী হিসেবে অভিহিত করেন নবাব মালিক। তার দাবি, মুক্তিপণ চক্রে কম্বোজের সঙ্গে যোগ ছিল এনসিবির অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। আসলাম শেখসহ একাধিক মন্ত্রীর সন্তানদের প্রমোদতরীতে নিয়ে গিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে বদনাম করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেদিন। গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খান, তার বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাসহ কয়েকজনকে গ্রে/প্তা/র করে এনসিবি। দীর্ঘ জেরার পর পরদিন তাদের গ্রে/প্তা/র দেখানো হয়। দুই দফা শুনানির পর পাঠানো হয় জেলে। জামিন পান গত ২৮ অক্টোবর। কারামুক্ত হন ৩০ অক্টোবর। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বলিউডকে।
আরিয়ান খানের সঙ্গে তার আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু গ্রেফ/তা/র হয়েছেন। অবশ্যে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু শর্তের মধ্যে দিয়ে জামিনে রয়েছে আরিয়ান খান। তবে আরিয়ান খান গ্রেফ/তা/রের পর থেকে শাহরুখ খান নিজেও বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে বলিউডের অনেকেই শাহরুখ খানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নানা ভাবে স্বান্তনা দিয়েছেন।