সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় নানা মহলে। র্যাবের বিরুদ্ধে বিচার বর্হিভূত হ/ত্যাকান্ড, গু/মসহ অনেক অভিযোগ তলে দেশের ও দেশের বাহিরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরে বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো। পরবর্তিতে এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিষয়টি নিয়ে সরকার তৎপর হলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করছি মন্তব্য করে যা জানালেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ চলছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে যাতে কোনো অসঙ্গতি না থাকে, কেউ যাতে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেজন্য আমরা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করছি। এ বিষয়ে আমরা তাকে বলেছি, এ ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ও শান্তি বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। আআফ্রিকার বিভিন্ন দেশে যে পিস কিপিং অপরেশন চলছে, সেখানে মডার্ন টেকনোলজি কীভাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তারা জানিয়েছে ভাসানচরে সহযোগিতার হাত তারা বাড়িয়ে দেবে। আমরা রোহিঙ্গা গ/,ণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তৃতীয় দেশে স্থানান্তর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা বলেছি, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, জাতিসংঘের সনদ ও নীতিমালা মেনে চলার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তবে আমরা বলেছি যে আমরা জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক সংস্থার নীতি মেনে চলি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। এটা নিয়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কাজ করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এখানে সরাসরি কোনো যুক্ততা নেই। তবে আমরা বলেছি, তাদের সিস্টেমের মধ্যেই আমরা কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা অনেক ইম্প্রুভও দেখেছি। আমরা ফার্মও নিয়োগ দিয়েছি। ওদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করছি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সারা বিশ্বে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা সংকট চলছে। আমরা এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।
প্রসঙ্গত, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া মাধ্যমে সমাধানের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সে প্রক্রিয়ায় সরকার এগোচ্ছে সরকার জানান তিনি।