অতিরিক্ত প্রণোদনার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মার্কিন ডলারের দাম বেশি পাচ্ছেন। ফলে বৈধ মাধ্যমে তাদের টাকা পাঠানোর হার বেড়েছে। এটি ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি নভেম্বরের ৬ তারিখে বৈধ পথে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ২০২২ সালের একই মাসে যা দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৩ লাখ ডলার। ফলে চলতি বছরের ১ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
গত অক্টোবরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার (১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার) রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা অন্তত ২১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি। যা গত ৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৩০ শতাংশ বেশি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার কিনছে। সরকার প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনছে ব্যাংকটি। ফলে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ডলারের বিপরীতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন পাচ্ছেন প্রায় ১১৬ টাকা। যেখানে আগে তিনি পেতেন সর্বোচ্চ ১১১ টাকা। ফলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে।
এরই মধ্যে রেমিটেন্সে ডলারের দাম ব্যাপক লাফিয়ে বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত হারের চেয়ে ১২ থেকে ১৪ টাকা বেশি দামে মার্কিন মুদ্রা কিনছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ডলার সংকট আরও তীব্র হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো মুদ্রা কিনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি ডলার রপ্তানি বা প্রত্যাবাসন আয়ের প্রতি ডলার ১১০ টাকায় ৫০ পয়সায় কেনা যাবে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তা কিনছে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায়। তারা খোলা বাজারের (কার্ব মার্কেট) চেয়ে ডলার প্রতি বেশি দাম দিচ্ছে। খুচরা বাজারে ১ ডলার লেনদেন হচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকায়। তবে মুদ্রাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।