নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যদিয়ে গতকাল বুধবার (১৫) শেষ হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন। তবে ঐ দিন রাতে এ নির্বাচনের ফল প্রকাশ করার পরপরই সারা-দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটের কার্যক্রম চললেও পাল্টে যায় রাতে ফলাফল ঘোষণার সময়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। ফলাফল প্রায় এক ঘন্টা জন্য বন্ধ. এ সময় দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীকে কয়েকবার ফোনে কথা বলতে দেখা গেছে। ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব এবং কয়েকটি ফোন কলসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। আজ বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো.
প্রায় এক ঘণ্টার জন্য ফল স্থগিত করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন: “অন্য কোনো কারণ ছিল না। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় সময় লেগেছে। উভয় পক্ষই একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’
সে সময় বারবার টেলিফোনে কার কথা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। অন্য কারও ফোন আসেনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরাজিত প্রার্থী চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে নতুন করে ফল দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে অবশ্যই এ নির্বাচনে সাক্কুর জয় হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচন কেন্দ্র অনিয়মের ফলে তাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।