মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র এবং সম্পদশালী রাষ্ট্রের তুলনায়ও কোনোদিক থেকে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভালো একটি পর্যায়ে রয়েছে। অনেক বাংলাদেশের মানুষ সেখানে গিয়ে বসবাস করছেন। সম্প্রতি জানা গেল একটি দুঃখজনক খুবর। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের সচিবকে লাঞ্ছনার অভিযোগ, কনস্যুলেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
মিশিগানে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত ১০টার দিকে ডেট্রয়েটের ডাউনটাউনে নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মিশিগানের মোবাইল কনস্যুলেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে কনস্যুলার ক্যাম্পের স্থানীয় সংগঠকরা সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার রাতে সেক্রেটারি মিল্টনসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ডেট্রয়েটের ডাউনটাউনে নদীর ধারে হাঁটতে যান। মিশিগানে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিসের দাবিতে একটি স্মারকলিপি দিতে ৭-৮ জনের একটি দল নদীর তীরে গিয়েছিল। দূতাবাসের সচিব মিল্টন স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি। দূতাবাসের অফিসিয়াল ই-মেইল ঠিকানায় পাঠানোর পরামর্শ দিন। তারা রেগে গেল। তারা মিল্টনকে গালি দেয়। একপর্যায়ে তিনি তাকে মারতে উঠে যান। এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্দেশে মোবাইল কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দূতাবাস সচিবের হয়রানির ঘটনায় সমাজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। একজন দূতাবাস সচিবকে শারীরিকভাবে হয়রানি করা নিন্দনীয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, বিদেশের বাড়িতে এমন একটি ঘটনা ঘটবে সেটা সত্যিই আশাব্যঞ্জক ছিল না কখনো। আসলে অনেক বিষয় ভাগ্যের উপরও নির্ভর করে। বিভিন্ন দেশের মানুষের আচার-আচারণ ও স্বভাবের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। যাই হোক সচিবকে লাঞ্ছনা ঘটনাটি অনেক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।