সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। র্যাবের বিরুদ্ধে গুম, বিচারবর্হিভূত হ/ত্যাসহ আরও অনেক অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরব হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে ও বিদেশী বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে জাতিসংঘে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ পুলিশ সামিটে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার তিনি ভিসা পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র।
তবে ভিসার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইজিপি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত কর্মকান্ড ব্যতীত অন্য কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- যা ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ৩১শে আগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামান, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) নাশিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা সরকারি আদেশ (জিও) অনুযায়ী, শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রতিনিধিদলের ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর বা তার কাছাকাছি সময়ে তারা দেশে ফিরবেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই সফরের খরচ বহন করবে পুলিশের জননিরাপত্তা বিভাগ। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরেই জিও ইস্যু করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাবের) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র ও রাজস্ব বিভাগ।
নিরীহ বেসামরিক নাগরিক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কথিত দমন, নিপীড়ন এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (ওএফএসি)-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। তালিকায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক তিন অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মুস্তফা সরোয়ার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
প্রসঙ্গত, অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার কথা জানিয়েছে কতৃপক্ষ। তবে তিনি নিদিষ্ট কাজের বাহিরে কিছুতে অংশগ্রহন করতে পারবে না বলে জানা যায়।