সম্প্রতি, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের ( Bangladesh ) গণতন্ত্রকে কিছু কারণ দেখিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিটি দেশেই সমস্যা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রপক্ষের লোকজন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেন। কিছু কিছু সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে এমন ও নয়, যে সমস্যার নিষ্পত্তি কখনও হবে না। সেই সমস্যার বিষয়কে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা করে দেওয়াটা আদৌও কোন রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়। এবার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশের ( Bangladesh ) প্রখ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
বুধবার (২৩ মার্চ ( March )) রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রকে ( United States ) নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ( United States Bangladesh ) এবং অন্যান্য দেশে গণতন্ত্রের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়, প্রশ্ন হল যে তারা তাদের নিজের দেশে পালন করেন কিনা। তিনি বলেন মাত্র দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ( Sheikh Hasina ) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দেন। পদ্মা সেতু ( Padma Bridge ), মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ( Rooppur Nuclear Power Plant ) মতো মেগা প্রকল্প অবকাঠামোয় দৃশ্যমান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা ও সরকারের ( government ) ধারাবাহিকতায় দেশে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তবে তিনি মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র অকারণে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) গণতন্ত্রে ঝাঁকুনি দিচ্ছে।
একই সঙ্গে মিয়ানমার ( Myanmar ) সংকটের পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যু’/দ্ধ বাংলাদেশকে ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন সালমান এফ রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ( Mahibul Hasan Chowdhury ) বলেন, ভালো নির্বাচনের চেয়ে সুশাসন ও সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা বেশি জরুরি।
সর্বশেষ সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে অনেক সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাম’/রিক বাহিনীর শান্তিরক্ষা মিশন ( Sam '/ Rick' peacekeeping mission ) থেকে সরকার অনেক রেমিটেন্স পেয়ে থাকে। সাম’/রিক বাহিনী ছাড়াও পুলিশ বাহিনী ( Police force ) ও এলিট ফোর্স ( Elite force ) র্যাব শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে আসছে।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাই শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ পড়েছে স্বনামধন্য এলিট ফোর্স ( Elite force ) র্যাব। এতে কিছুটা হলেও দেশের সম্মান ও অর্থনীতির উপর প্রভাব বিস্তার হয়েছে।