নিষেধাজ্ঞার পর গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা সেতু পার হতে মাওয়া প্রান্তে জড়ো হন বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক। তারা সেতু পার হওয়ার দাবি জানালেও টোল প্লাজায় কর্তব্যরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধায় তারা সেতু পার হতে পারেননি। ভিড় ও অনিয়মসহ নানা কারণে রোববার রাতে পদ্মা সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় প্রথম দিনের তুলনায় টোল আদায় প্রায় দেড় কোটি টাকা কমেছে। মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাজিরা প্রান্তে ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৯ টাকা এবং মাওয়া প্রান্তে ৯৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে জাজিরা পার হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৮টি এবং মাওয়ায় ৭ হাজার ৬৬১টি যানবাহন। প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে ১৫ হাজার ৪২৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় পদ্মা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়। তিনি আরও বলেন, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ শতাংশ মোটরসাইকেল অতিক্রম করেছে। কিন্তু গতকাল মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় টোল আদায় কমে গেছে।
উল্লেখ্য, ২৫জুলাই শনিবার দুপুর ১২টার আগে মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী পরদিন সকাল ৬টা থেকে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এর আগে শনিবার রাতে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার সামনে বিপুল সংখ্যক যানবাহন ভিড় করে। এর বেশিরভাগই ছিল মোটরসাইকেল। সেতুতে যান চলাচল শুরু হলে মোটরসাইকেল চালকরা নানা বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। কেউ কেউ রেলিংয়ে বসে ছবি তোলেন। বাইজিদ নামের এক বাইক চালক রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে ফেললেন। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এমন বাস্তবতায় রোববার রাতে সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৬টা থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।