মেলায় গিয়ে দুয়োধ্বনি শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম প্রশ্ন করেন যারা বয়কট করার স্লোগান দিচ্ছে, তাদের কী যোগ্যতা আছে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ওনারা হিরো আলমের ‘হ’ বলার যোগ্যতা অর্জন করেন নি এবং হিরো আলম তৈরি করার যোগ্যতা অর্জন করেন নি। ওনাদের নিয়ে কি কথাবার্তা বলবো। ওনারা পারলে একটি হিরো আলম তৈরি করে দেখাক। ওনারা বাবার হোটেলে খায়, সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। ওনারা কী যোগ্যতা অর্জন করছে। ওনারা তো যোগ্যতায় অর্জন করেন নি।
এটাকে সিন্ডিকেট দাবি করে হিরো আলম বলেন, কিছু ছেলে মিলে এ ধরনের কাজ করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য বইমেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
মোশতাক-তিশাকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে হিরো আলম বলেন, মোশতাক-তিশা বইমেলায় এসেছিলেন, তারাও ভুয়া, এখন হিরো আলম এসেছেন, তিনিও ভুয়া, তাহলে কি শুধু তারাই আসল?
শখের বশে বইটি লিখেছেন দাবি করে হিরো আলম বলেন, আমি কবি নই। শখের বশে বইটা লিখেছিলাম। আমি একজন অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হতে চাই। নাটক, গান, বই লেখা সবই করা হয় দর্শকদের বিনোদনের লক্ষ্যে। সবসময় ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করি।
এর আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার কুষ্টিয়া পাবলিকেশন্সে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন হিরো আলম তার নিজের বই ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দেবো’র প্রচারণা চালাচ্ছিলেন হিরো আলম। এরপর একদল দর্শনার্থী তাকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া,হুক্কা-হুয়া হিরো আলম, ছি ছি ইত্যাদি দুয়োধ্বনি দিতে আরম্ভ করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে টিএসসির গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে সহায়তা করে।