শহীদ জিয়া ও জাইমা রহমানের সম্পর্কে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিওটিতে অশালীন মন্তব্য করে রীতিমতো সারা-দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছেন ক্ষমতাসীন দলের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান। তার এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার অনতিবিলম্বে পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার জিয়া পরিবার সম্পর্কে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে অরুচিকর ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে ডা: মুরাদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটে কিন্তু এখন আর মানুষ যায় না। কারণ ভোটারদের ভোট দেয়ার তো অধিকার নাই। বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে লড়াই করে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।
সম্প্রতি সারা-দেশজুড়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান। কখনও গান গেয়ে হয়েছেন সমালোচিত, আবার কখনও বিরোধী দল নিয়ে নানা মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে এবার শহীদ জিয়া ও জাইমা রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা মাত্রা ছেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।