সম্প্রতি মা/রধরসহ নি/র্যাতনের অভিযোগ করেন জাতিয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে তিনি থানায় মামলা করেন তার বিরুদ্ধে। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান জানায় আল-আমিনের বেশ কিছু দিন যৌতুকের দাবি করে তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করছে। অন্য নারীর সাথে সম্পর্কের কথাও তিনি প্রকাশ করেন। তবে ওই মামলায় তাকে আদালত জামিন দিলে ফের আরেকটি মামলা করেন আদালতে স্ত্রী ইসরাত জাহান।
একসাথে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরনপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামি আল আমিন আদালতে হাজির হন। এরপর তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান আদালতে মামলাটি করেন।শুনানি শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন। এরপর আল-আমিনকে ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজী ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরনপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরনপোষণ দেবেন না।প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে এ কাজ করেছে এবং একজন মহিলার সঙ্গে উঠানো ছবি ইসরাতের কাছে পাঠায়।
মামলায় আরো বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরনপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরনপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, আল-আমিন স্ত্রীর সাথে সংসার করতে রাজি না এবং সে অন্যত্র করার কথা জানলে নতুন করে আবার স্ত্রী আদলতে মামলা করেন। সেই মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তার জামিন মঞ্জুর করে বলে নিশ্চিত করে আল-আমিনের আইনজীবি।