ভালোবাসার টানে মানুষ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আসে। প্রিয় মানুষটিকে পেতে ধর্ম, জাতি, সব কিছুই ছাড়তে পিছুপা হয় না। তেমন ঘটনায় ঘটেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শমসেরের জীবনে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেছেন মিশরের তরুণী নূরহানকে। মিশরীয় তরুণী নূরহান এখন বাংলাদেশের দিনাজপুরের শমসেরের পরিবারে।
ভাষা-সংস্কৃতির ভেদাভেদ ভুলে বিয়ে করে বাংলাদেশে এসে কৃষক পরিবারে সংসার শুরু করেছেন নুরহান (২০) নামে এক মিসরীয় তরুণী। চার বছর আগে পিরামিডের দেশ মিসরে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক শমসেরের (৩৫) সঙ্গে। গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, দুই মাসের মাথায় তারা বিবাহ বন্ধনে।
এদিকে বিদেশি বধূ দেশে আসায় শমসের পরিবারে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। জানাজানির পর বিদেশি পাত্রী দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন। শমসের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রামের অর্জুনাহার গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়ার ছেলে। শমসের-নূরহান দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়েটির নাম রুকাইয়া (১৫) ও ছেলে ইয়াসিন (১১ মাস)। নুরহান সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের মতামত নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
এদেশটা সুন্দর। খোলা মাঠ আর খোলা আকাশ সঙ্গে সবুজ প্রান্তর দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আমি এখানে আমার স্বামীর সংসার করতে চাই। তিনি বলেন, এ পরিবারের লোকজন খুবই স্নেহময়। নূরহানের স্বামী শমসের জানান, দুজনের কৃষ্টি-কালচার ভিন্ন হলেও তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ভালোবেসে বাংলাদেশের যুবকে বিয়ে করেন ওই তরুণী। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার হয়ে গেছে দুটি সন্তানও তাদের সংসারে এসেছে।