বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোট ও দলের নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ২৯ অক্টোবর সকালে জনগণের অধিকারের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষে ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রেফতার করেছে। । ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার ও নি/পীড়ন স্বীকার জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। গত ২৮ অক্টোবর জামায়াত-বিএনপির বিশাল সমাবেশ এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সমাবেশ দেখে সরকার খেই হারিয়ে ফেলেছে।
জামায়াতের দায়িত্বে থাকা আমির বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনসমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক গ্রেপ্তার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমি এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুর রহমানকে জনগণের অধিকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। গত দুই দিনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। গত ২৯ অক্টোবর সকালে খুলনা জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা কবিরুল ইসলামকে তার কর্মস্থল মাদ্রাসা থেকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে পুলিশ। এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেলে পুরে অতীতে কোনো সরকার জনগণের আন্দোলনকে দ/মন করতে পারেনি, বর্তমান সরকারও পারবে না। সরকারের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সরকার ঢাকায় আসা সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন কারখানার রিকশাচালক ও শ্রমিকদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকাচ্ছে। সরকার আজ গোটা দেশকে একটি বড় কারাগারে পরিণত করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কয়েকদিন আগে স্বীকার করেছেন যে দেশের কারাগারগুলো ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। যার কারণে বন্দিরা প্রয়োজনীয় খাবার পানি পাচ্ছেন না। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় কোনো দেশ চলতে পারে না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, জনগণের দাবি অবৈধ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। সরকার যত তাড়াতাড়ি এই দাবি মেনে নেবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে বর্তমান সংকট থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।