সম্প্রতি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হ/ত্যার বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। স্ত্রী হত্যার বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করলেও পরে তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় বিচারধীন অবস্থায় কারাগারে বর্তমানে অবস্থান করছে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা পিবিআই কর্মকর্তারা। সাংবাদিক ইলিয়াসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছ পিবিআই।
পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংবাদ সম্মেলনে মিতু হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিক ইলিয়াসের ‘মিথ্যা তথ্যের’ বিষয়টিও উঠে আসবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পিবিআই সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ খুদে এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই সদরদপ্তরে মিতু হ/ত্যা মামলা সংক্রান্তে বাবুল আক্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইনের মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
সম্প্রতি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হ/ত্যার তদন্ত নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। ইউটিউবে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে তিনি বাবুলকে রিমান্ডে নেওয়াসহ বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন।
ইলিয়াস হোসাইনের পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন বনজ কুমার। এছাড়া তাকে রিমান্ডে নি/র্যাতনও করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গু/লি ও ছু/রিকাঘাতে খু/ন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। সে সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হ/ত্যা মামলা করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় পিবিআই মিতু হ/ত্যায় তার সম্পৃক্ততা পায়। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই পিবিআই বাবুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এরপর থেকে দুটি মামলাও তদন্ত করছে পিবিআই।
এদিকে ইলিয়াসের ভিডিও প্রকাশের পর বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার। তবে আদালত মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছে পিবিআই এর বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি সঠিক নয় এবং এ বিষয় সম্পর্কে সব তথ্য উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছে পিবিআই এর পক্ষ থেকে।