চাঞ্চল্যকর মিতু হ/ ত্যা মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। মামলার একজন আসামি অভিযোগ করেন, ক্র/ সফায়ারের ভয়ে মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় তাকে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামি এহতেশামুল হক ভোলা জবানবন্দি দেওয়ার আগে বিশেষ ডায়েরির মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করেন। পরে ভোলাও বক্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশে জবানবন্দি প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তাই ভয় দেখানোর অভিযোগ সঠিক নয়। শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় ১৪ মাস ফেনী কারাগারে বন্দি রয়েছেন এসপি বাবুল আক্তার। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। আসামি এহতেশামুল হক ভোলা ২০১৬ সালের ৮ মে থেকে হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
ভোলা তার আদালতের ডায়েরিতে অভিযোগ করেছেন যে স্বার্থপর মহল তাকে এবং তার পরিবারকে বিভিন্ন মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্য দিতে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বা সাক্ষ্য না দিলে তারা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার এবং ক্রসফায়ার করার হুমকি দিয়েছে।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এটি রেকর্ড করা হয়েছিল। এখানে জোর দেওয়ার সুযোগ নেই। আদালতে বিশেষ ডায়েরির বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বিচারাধীন বিষয়। আদালত তা রেকর্ড করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বক্তব্য প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় ইকবাল কবির নামে এক পঠক তার মন্তব্যে লিখেছেন, বাস্তবতা আর আইনী প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন ভীন্ন বিষয়। এসপি বাবুল আক্তার একজন আইন জানা শিক্ষিত বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা। তাই পরিকল্পিত এই হ/ ত্যাকান্ডে তদন্তকারী পুলিশ কে নিখুত ভাবে সাক্ষ্য প্রমান উপস্থাপন করতে হবে আদালতে। আর ১৬৪ ধারা একজন ম্যাজিষ্ট্রেটেট এর উপস্থিতিতে নয় ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছেই জবানবন্দি দিতে হয়।যদিও এখন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নিয়েও নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে পুলিশ ও নিম্ন আদালতের বিচারকরা।