সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে পরিচয় থেকে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেন নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মাথায় নাটোরের কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) মৃত্যুর ঘটনা যেন শেষ নেই আলোচনা-সমালোচনার। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যম স্বামী মামুনকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
কিন্তু খায়রুন নাহারের মৃত্যুর পর একটা ইস্যু জোরেশোরে উঠছে, আর সেটা হল বাইক ইস্যু। খায়রুন নাহারের আগের পক্ষের ছেলেকে মোটরসাইকেল কেনার বিষয়টি নিয়ে স্বামী মামুনের সাথে মনোমালিন্য হয়। আর অভিমানে এই আ/ত্ম/হ/ত্যা//? এ নিয়ে নাটোরের সর্বত্র চলছে আলোচনা।
খায়রুন নাহারের আগের ঘরের এই ছেলে সালমান নাফি বৃন্ত রাজশাহীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিনি বলেন, “অনেকে মনে করে আমার মাকে খু///ন/ করা হয়েছে। যদি এটা /মা//র্ডা/র না-ও হয় তাহলে সু/ইসাইড করার জন্য মাকে উৎসাহ দিয়েছে মামুন। টাকাসহ নানা বিষয়ে মাকে মানসিক চাপে রাখছিল মামুন।
মামুন বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নিত। সে বাইক কেনার জন্য মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সব খরচই নিয়েছেন। মা আমাকেও বাইক কিনে দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু মামুন তা কিনতে অস্বীকার করছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। ওই রাতেও মামুনের সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খায়রুনের কাছ থেকে টাকা নিত মামুন। মামুনের সম্মতিতে খায়রুন তার আগের সঙ্গীর বড় ছেলেকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা দিতে চায়। কিন্তু পরে মামুন ওই টাকা দিতে দেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।
এর আগে চলতি বছরের গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। প্রথম সংসার ভাঙার পর মামুনকে পেয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা সেই খাইরুন নাহারের এমন মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছে না কেউ।