ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর আওয়ামী লীগ নেতার হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ বলে অভিহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তারা এই বক্তব্যকে অত্যন্ত অসহযোগিতামূলক আচরণ বলে অভিহিত করেছেন।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হু/মকি দেন। তিনি তার বক্তব্য তার ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ব্রিফিংয়ে পিটার হাসকে মুজিবের হু/মকির কথা উঠে আসে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হু/মকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা। তিনি কীভাবে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের হু/মকির মাত্রা এবং নিরাপত্তা উদ্বেগের মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে বড় পরিসরে কথা বলতে চান। অর্থাৎ মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন যে এই ধরনের স/হিংস বক্তৃতা অত্যন্ত অসহযোগী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তারা আশা করে যে কোনো আয়োজক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এই প্রসঙ্গে, বেদান্ত প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দেন।
একই সাংবাদিক ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো শাসক দলের ‘একতরফা’ নির্বাচনী প্রচেষ্টা এবং বিরোধীদের গ্রেপ্তার সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে, বেদান্ত প্যাটেল বলেছিলেন, তিনি এই বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলবেন না। কিন্তু তারা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না। তাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। এজন্য তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।