র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে দক্ষ ও চৌকস আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এই বাহিনী গঠন করার পর থেকে দেশে সকল ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড, মানব পাচারসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ সমূহ পূর্বের তুলনায় অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই বিশেষ বা’হিনীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আর এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন মহল এবং সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে।
অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)ও এর কর্মকর্তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের( United States ) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সরকারের ( government ) ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন, আব্দুল ( Abdul ) মোমেন। এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের( US Congress ) সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের( United Nations ) আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি( February ) নিউইয়র্কে ( New York ) গিয়েছিলেন ড. মোমেন ( Dr. Momen )।সফরকালে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৮ ফেব্রুয়ারি( February ) মার্কিন কংগ্রেসম্যান গ্রেস মেং ( Grace Meng ) এবং ১ মার্চ থমাস ল্যান্টোসের ( Thomas Lantos ) সাথে কংগ্রেসম্যান জেমস পি. ম্যাকগভর্ন ( James P. McGovern ), মানবাধিকার কমিশনের ( Human Rights Commission ) ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ-সম্পর্কিত প্রোটোকলের কারণে, উভয় মিটিং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
র্যাব এবং এর সাত বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. মোমেন ( Dr. Momen ) বলেন, র্যাব ( RAB ) সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত।তিনি উল্লেখ করেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে র্যাব ( RAB ) বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হয়ে উঠেছে। এটি স/ন্ত্রা”সবাদ, সহিং’স চরমপন্থা, নিষিদ্ধ দ্রব্য ও মানব পাচার এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরা’ধের বিরুদ্ধে ল’ড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
ডাঃ মোমেন দেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ( Myanmar ) নাগরিক বিষয়ে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় এবং এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সং্ক্রমিত রোগের টিকা প্রেরণে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) প্রতি শক্তিশালী মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।তিনি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে এবং বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী সকল মিয়ানমার থেকে আগতদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উপায়ে মিয়ানমারকে রাজি করাতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা বিপুল সংখ্যক তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছেন। এ ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তারা।ড. মোমেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ এবং আগামী দিনে চমৎকার অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার ওপর জোর দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলসহ উভয় আইন প্রণেতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে তিনি এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে না পারলেও, ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ২-৩টি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
ডক্টর মমিন বলেন, মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশীদের অনেক উদারতার প্রশংসা করেছেন, বেশ কয়েকজন মার্কিন আইন প্রণেতা। তিনি বাংলাদেশের সংকট মোকাবেলায় পাশে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শান্তিরক্ষা মিশনের সা”মরিক চুক্তি অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন আইন প্রণেতা।