মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা নিষেধাজ্ঞার দেশ, তারা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তারা বড় মানুষ। তবে আমরা আমাদের মতোই কাজ করব। আমরা বাস্তবতার নিরিখে কাজ করব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে বাইডেন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞাসহ নানা পদক্ষেপের কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা সফররত স্কটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর শ্রমিক অধিকারসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একদিনে আমেরিকা হতে পারব না। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) মনে করে বাংলাদেশ একদিন আমেরিকায় পরিণত হবে।
হঠাৎ ওনারা বড়লোকের মতো কথা বললে অবাক হওয়ার বিষয় মনে হয়।
এই অবস্থায় পৌঁছাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০ বছর লেগেছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা এক সময় দাস ছিল। তাদের দাসত্ব বহু বছর ধরে চলে। এটি শুধুমাত্র ১৯৮২সালে আব্রাহাম লিঙ্কনের কারণে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছিল। এটি বাদ দেওয়ার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃ/হযুদ্ধ শুরু হয়। তিনি দাসপ্রথা বিলোপের জন্য আব্রাহাম লিংকনকে অভিনন্দন জানান। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকরা ২০ সেন্টের বিনিময়ে ১৮ ঘন্টা কাজ করতেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার উন্নয়নের কথা আমরা জানি। সেখানে শ্রমিকদের কীভাবে নি/র্যাতন করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানকার কর্মীরা আমেরিকায় চেয়ে অনেক ভালো।আমেরিকাতে জনপ্রতি আয় প্রায় ৬৫ হাজার ডলার।আর আমাদের দেশে ২ হাজার ৮০০ ডলার।তার তুলনায় আমাদের দেশের শ্রমিকরা অনেক ভালো।আপনি কি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ভীত? মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমি জানি না এটা তাদের দেশের এখতিয়ার।