আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেছে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় (ইউপিআর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যাচাই করা হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর লিভিয়া স্যাকার্ডি এক বিবৃতিতে বলেছেন যে চতুর্থ ইউপিআর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মানবাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিরোধী নেতা, স্বাধীন মিডিয়া এবং সুশীল সমাজ ব্যবস্থাগত আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ইউপিআরের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া তথ্য পূর্বের সুপারিশ বাস্তবায়নের মূল্যায়ন করেছে। তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, অ্যাসোসিয়েশন সহ শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং অন্যান্য মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের উচিত নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। একই সঙ্গে এই আইন যাতে মানবাধিকার কর্মী, সমালোচক, ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
অ্যামনেস্টি আরও বলেছে যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমিতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সহ তাদের মানবাধিকার প্রয়োগের জন্য আটক ব্যক্তিদের আগামী জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া উচিত।