বলিউডের ৮০,৯০ দশকের সুপারস্টার নায়িকা রেখা। সে সময়ে ছিল তুমুল জনপ্রিয়তা এবং দামি পারিশ্রমিক ও। তবে বয়সের সাথে সাথে যে তার চাহিদা কমে যাবে তা নয় উল্টা দিন যাচ্ছে তার যেন আরো দাম বারছে। এখনো যেমন জনপ্রিয়তার কম নেই তেমনই পারিশ্রমিক আকাশ ছুঁই ছুঁই। যেন বৃদ্ধ বয়সেও জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী চিত্রজগতে এখনো যুবতী।
বলিউডের ‘এভারগ্রীন’ অভিনেত্রী রেখা। আশির দশকের দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রীর আবেদন এখনো কমেনি। আর তাইতো একটি টিভি সিরিয়ালের এক মিনিটের প্রোমোর জন্যে পারিশ্রমিক নিয়েছেন পাঁচ কোটি টাকা। যা কিনা বর্তমান সময়ের অনেক নামি অভিনেত্রীর সিনেমার পারিশ্রমিকের চেয়েও বেশি।
স্টার প্লাস এর ‘গম হ্যায় কিসিকে পেয়ার মে’ নামের এই ধারাবাহিকটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সাই যোশী ও বিরাট চৌহানের কাহিনি নিয়ে তৈরি এই সিরিয়ালে এক মিনিটের প্রোমোতে অংশ নিয়েছিলেন রেখা। সেখানে ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় রমণীর পোশাকে দিয়া জ্বালিয়ে সিরিয়ালের ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
রেখার অভিনয় দক্ষতা এবং সৌন্দর্য বলি দর্শকদের বছরের পর বছর মুগ্ধ করেছে। তাই নির্মাতারাও তাকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে ‘না’ করেননি। তার জন্য আলাদা বাজেট করে রেখেছেন। এছাড়া এই শোয়ের শুরুর সময়েও প্রোমোতে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বলি পাড়ায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রেখার প্রেমকাহিনী যেন এখনো রহস্য। ১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবির সেটে অমিতাভ-রেখার প্রেমের শুরু। অমিতাভ তখন বিবাহিত; গোপনে প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেখার সঙ্গে। বিষয়টি মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৮ সালে ‘গঙ্গা কি সুগন্ধ’ ছবির সেটে অমিতাভ-রেখার প্রেমের বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। যদিও দুজনেই পরে বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। তখন অবশ্য ‘সিলসিলা’ ছবির পরিচালক যশ চোপড়া অমিতাভ-রেখার প্রেমের খবরটি নিশ্চিত করেছিলেন।
শিল্পী ছবি বিচার করলে তার যে পারিশ্রমিক সেটা এখনকার অনেক অভিনেত্রীই নিতে পারেন না। তাহলে বুঝতে হবে চাহিদা একটুও তার কমেনি জনগণের কাছে। তা না হলে নির্মাতা কেনইবা এতো টাকা পারিশ্রমিক দিবেন তাকে। বয়স বেশি হলেও যে নিজের অস্তিত্ব একটুও কমেনি তার প্রমান তিনি নিজেই দিয়ে দিলেন। আশির দশকের এই নায়িকার অভিনয় দেখার অপেক্ষায় এখনো যেন মানুষ ঘরে ঘরে বসে থাকে এমনই দৃশ্য মিলছে তথ্যমতে।