দলীয় শৃঙ্খলার দায়ে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। এ সিদ্ধান্ত নেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। পরে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। সাবেক এই মহাসচিব হুমকির সুরে পার্টির চেয়ারম্যানকে দেখে নেওয়া কথা জানান। এ বিষয়ে নিয়ে দলের ভিতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করে দলের শীর্ষ নেতার যা বললেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দলটির সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে একতাবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে রংপুরের পায়রা চত্বরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা বলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মী এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আছে।
জিএম কাদেরকে রংপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না মশিউর রহমান রাঙ্গার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি করি। জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান। তিনি রংপুরে এসে তার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কেউ এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সমুচিত জবাব আমরা দেবো। সেজন্য জেলা ও মহানগরের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, রাঙ্গা যে কথা বলেছেন তাতে আমরা খুব মর্মাহত হয়েছি। সঙ্গত কারণে দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পার্টি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এটা দলীয় শৃঙ্খলা। আশা করি তিনি তার ভুল সংশোধন করবেন।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে অব্যাহতিপত্র দেওয়ার পরপরই রংপুর মহানগর জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসে এসে জরুরি বৈঠকে বসেন। রাত ১০টায় তারা পার্টি অফিস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই দিনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে ২৪ সংসদ সদস্যের চিঠি পাঠানোসহ দলীয় একাধিক বিষয়ে কথা বলেন রাঙ্গা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দলের আধ্যন্তরীন বিষয় বাহিরে প্রকাশ করা দলীয় নীতির বর্হিভূত যেটি উনি করেছেন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির অনেক শীর্ষ নেতারা। দলীর সিদ্ধান্তে সকলে একমত প্রকাশ করেছে এ বিষয়ে তার তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।