রোববার (১৪ জানুয়ারি) ডা. সামন্ত লাল সেন সারাদিন মন্ত্রণালয়ে ব্যস্ত থাকার পর ছুটে যান তার পুরনো কর্মস্থল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের এক নিজস্ব প্রতিবেদক। তিনি বলেন, তিনি বলেন, আমি আগেও যেমন ছিলাম ঠিক তেমনই থাকবো। আমার প্রতি সবার অনেক আশা-ভরসা। সেই জায়গা থেকে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
সংবাদ মাধ্যম : আজ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের কোন কোন বিষয়ে নজর দেবেন?
সামন্ত লাল সেন: আজ যোগদান করেছি। আমাদের অনেক কাজ আছে। এটা অনেক বড় মন্ত্রণালয়। তবে প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয় হল প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া। কিভাবে চিকিৎসাকে সহজলভ্য ও সহজ করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন। চিকিৎসা খাতকে বিকেন্দ্রীকরণ না করলে বিভাগীয় শহরগুলোর ওপর চাপ কমবে না। এই কাজটি করা গেলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
সংবাদ মাধ্যম : এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব কীভাবে সামলাবেন?
সামন্ত লাল সেন: বার্ন আমি ছাড়বো না। আজও বার্নে গিয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছিলাম বার্ন আমি ছাড়বো না। আমার এখনো পাঁচটি মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট করার কথা ১০০ বেডের। এটি একনেকে যাবে শিগগির। চট্টগ্রামেও একটি হবে। সুতরাং, কাজের ফাঁকেই আমি বার্ন দেখবো। শুধু বার্ন দেখলে তো হবে না। আমি সারাদেশের মন্ত্রী, শুধু বার্নের জন্য তো নয়। তবে বার্ন আমার প্রিফারেন্সে থাকবে।
এটা আমার মাথায় কোনোদিনই ছিল না, জীবনেও চিন্তা করিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ওনাকে বলেছি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যখন দেখবো আমি পারছি না তখন নিজেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো।
সংবাদ মাধ্যম : স্বাস্থ্যের বড় সমস্যা-দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট মোকাবেলায় আপনার পরিকল্পনা কী?
সামন্ত লাল সেন: দুর্নীতি অবশ্যই একটি বড় সমস্যা। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে আমি আমার সারা জীবনে এক ইঞ্চিও দুর্নীতি করিনি। তাই দুর্নীতির প্রতি আমার জিরো টলারেন্স আছে। আমি সুযোগ দেব না। কিন্তু এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা পেলে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
সংবাদ মাধ্যম : এর আগে ডাক্তার হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বে ছিলেন, এখন পুরো বাংলাদেশের দায়িত্বে আপনি কতটা সফল হবেন বলে আশা করছেন?
সামন্ত লাল সেন: এটা আমার মাথায় আসেনি, জীবনেও এটা নিয়ে ভাবিনিও। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ওনাকে বলেছি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, যখন দেখবো আমি পারছি না তখন নিজেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং দুর্নীতি বন্ধ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতি কোথায় হয়, কীভাবে হয়, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি কোথাও দুর্নীতি চাই না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক আস্থা রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেছেন।
সংবাদ মাধ্যম : স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার নিজের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? যদি তাই হয়, এটা কি?
সামন্ত লাল সেন: আমরা যদি আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে ঠিক করতে চাই, প্রথমে আমাদের চিকিৎসা সম্প্রদায়কে ভালো রাখতে হবে। আমি ভালো না হলে ভালো সার্ভিস দিতে পারবো না। আমি চিকিত্সক সম্প্রদায়ের অনেক কষ্টের কথা শুনেছি। বিশেষ করে তরুণ চিকিৎসকদের। আমি যাকে দিয়ে কাজ করাবো, তাকে যদি শান্তিতে না রাখি, তাহলে কাজ আদায় করবো কীভাবে?
সংবাদ মাধ্যম : স্বাস্থ্য খাতে বর্তমানে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন? চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কিভাবে করবেন?
ডাঃ সামন্ত লাল সেন: স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে আসা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতি কোথায় হয়, কীভাবে হয়, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি কোথাও দুর্নীতি চাই না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক আস্থা রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেছেন। এত মানুষের মধ্যে তিনি আমাকে বেছে নিয়েছেন। তাই তার একটা প্রত্যাশা আছে। যে কোনো উপায়ে তার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব।