দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম নেন তিনি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে একটি বিস্ফোরক মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত তাকে জামিন দেন।
একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠরা গনমাধ্যমকে জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে সব প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।
একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং নবম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি যখন আন্দোলন করছে, তখন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে মনোনয়ন তোলার কারণ স্পষ্ট করেননি একরামুজ্জামান। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে আমার কিছু বলার নেই। আমি এখনই সবকিছু পরিষ্কার করতে চাই না।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন বলেন, নির্বাচনে বিএনপি থেকে যে কাউকে আমরা স্বাগত জানাই। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচনে আসছেন- এটা খুশির খবর। নাসিরনগর নির্বাচন আরও প্রাণবন্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন বলেন, আমাদের নেত্রী কারারুদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আমরা মাঠে আছি। আর নেত্রীর উপদেষ্টা একরামুজ্জামান আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে যাবেন। এটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই।