বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ১৯৭১ সালে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে। বাংলাদেশের জাতির জনক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান। তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এবং তার মত আত্মত্যাগ কোনো বাঙ্গালী করেননি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি জানা গেছে তিনি বলেছেন প্রকৃত গণতন্ত্র থাকায় দেশের উন্নতি আজ প্রমাণিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলেই দেশের অগ্রগতি হয়, তা আজ প্রমাণিত। আওয়ামী লীগ তা প্রমাণ করেছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক কাজ করেছি। ‘
সোমবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি বত্রিশে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগের রক্তদান ও প্লাজমা সংগ্রহ কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সময়। ওরা আসার পর কি করলো? ভিক্ষা করে নাকি দেশকে পরাধীন করে তুলেছে। দুর্নীতি, খুন, লুটপাট ছিল সাধারণ ঘটনা। জনগণের ভোটাধিকার ছিল না। বিএনপির স/ন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়। তাদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হয়, নির্বাচনের কথা তারা বলে কোন মুখে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো যখন সংগ্রাম করছে, তখন আমরা মিতব্যয়ী হচ্ছি। এর মানে এই নয় যে আমরা লুটপাট করছি। বিএনপি লুটপাট করেছে। হারিকেনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন বিএনপি নেতারা। তাদের হারিকেন ধরিয়ে দিতে হবে। আর আমরা মানুষকে ভালো রাখার জন্য সবকিছু করছি। সেটাই করব।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে প্রাণনাশের পর দেশের কী অগ্রগতি হয়েছে? সামরিক আইনে গিয়েছিলেন। ক্ষমতা দখল করা হয় এবং স্বতঃসিদ্ধ করা হয়। তারা ক্ষমতায় এসে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেয়। জাতির পিতার প্রাণনাশকারীদের রক্ষা করে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনে। দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সবকিছু সংগঠিত করেছিলেন। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর-ডাকাত বানিয়েছে। দেশের মানুষ কী পেল?
প্রসঙ্গত, দেশের বর্তমানে গড়ে ওঠা প্রকল্পের মত এমন প্রকল্প আগে কখনো দেখা যায়নি এদেশে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু বাংলার মানুষকে করেছে মহা আনন্দিত আর সেই সাথে দেশের মর্যাদাও বিশ্ব মঞ্চে অনেক গুণ বেড়েছে।