সিপিবি-বাসদসহ মূলধারার বামপন্থী দলগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঠিক করতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের দাবি সংলাপ। তাদের নেতারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের জন্য নয়, নিজেদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছে। যার দায় বড় দুই দলের।
শেষ পর্যন্ত কার অধীনে নির্বাচন হবে? ক্ষমতাসীন দল নাকি নিরপেক্ষ সরকার? এ নিয়ে রাজনীতির জল ঘোলা হচ্ছে। যে জলে মাছ ধরছে বিদেশিরা।
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও সমমনারা আমেরিকার মোড়লগিরিতে স্বস্তি পেলেও বাম দলগুলো তা পাচ্ছে না।
সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আমেরিকার এজেন্ডা নিরপেক্ষ নির্বাচন নয়। বরং তার এজেন্ডা হবে ভূ-রাজনৈতিক কতগুলো পরিকল্পনা কার্যকর করতে চায় এবং সেই পথে বাংলাদেশকে জোড় করে সংযুক্ত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান না থাকলেও সংবিধান সংশোধনের বিধান রয়েছে। আমাকে দায়িত্ব দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের ফর্মুলা প্রকাশ করব। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের পরাজয় নিশ্চিত হওয়ায় এই সংশোধনীকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন বর্জন করবেন বলে জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ। নিরপেক্ষ দলদের লোক নিয়ে তদারকি সরকারের ফর্মুলা সংলাপের আহ্বান জানান। এছাড়া নির্দলীয় সরকারের দাবি না মেনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে ঐ দিন সব জেলায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেবেন।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের ইস্যুতে বিএনপির দাবির সঙ্গে একমত হলেও সিপিবি, বাসদসহ মূলধারার বামপন্থীরা তাদের আন্দোলনের প্রবাহে যোগ দিতে চায় না। তবে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবেন।