ঢাকা সফররত মার্কিন কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের সহকারী সচিব রেনা বিটার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে সুখবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ভিসা প্রক্রিয়া ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
রোববার বিকেলে রেনা বিটার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.)মো. খুরশেদ আলম সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেছেন যে মার্কিন কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের সহকারী সেক্রেটারি রেনা বিটার সাথে ভিসা নীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন সহজে ভিসা পায় সে বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
খুরশেদ আলম বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারাও তোলেনি। আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, যেমন ছাত্ররা সঠিকভাবে ভিসা পাচ্ছে না। আমরা যারা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করি, অর্থাৎ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তাদের ভিসা পেতে সমস্যা হয়, আমি সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
তারা বলেন, এসব বিষয় বিবেচনা করবেন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা (মার্কিন) ভিসা দেওয়ার সময় (ভিসার মেয়াদ) অনেক আগে কমিয়ে এখন ছয় মাস করেছে।
রেনা বিটার ছাড়াও, স্টেট ডিপার্টমেন্টের জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিষয়ক উপ-সহকারী সচিব জেনিন উইন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অফ স্টেটের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।
উপ-সহকারী মন্ত্রী জেনিন উইনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে খুরশেদ আলম বলেন, রো/হিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। তারা রো/হিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায়। তাতেও আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিনা জানতে চাইলে মোঃ খুরশেদ আলম বলেন, না, চিন্তার কিছু নেই।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকায় আসেন রেনা বিটার। রোববার সকালে তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে রেনা বিটার দূতাবাস ও কনস্যুলেটের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কনস্যুলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
রেনা বিটার ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামাবাদ সফর শুরু করেন। পরে তিনি করাচি হয়ে ঢাকায় আসেন। আগামী ২ অক্টোবর তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।