এবার ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিলেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা, দিলেন ভিন্ন তথ্য

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে, ভিসার ওপর বিধিনিষেধ আরোপকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী কীভাবে দেখে বা বাহিনীর অভিযানে কী প্রভাব ফেলবে সে বিষয়ে সংস্থাটির বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তির ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

পুলিশের আরেক সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি নিয়ম মেনে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করে তাহলে ভিসা নীতি কোনো সংকট তৈরি করবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মানবাধিকারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তারা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবেন।

ভিসা নীতিমালার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, এটা শুধু বাহিনীর জন্যই নয়, কতটা অস্বস্তিকর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্য ভিসা নীতিমালার আওতাভুক্ত। বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যরাও রয়েছেন। তবে কারা ভিসার বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে তার তালিকা আমরা জানি না। ফলে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, ভিসা নীতির বিধিনিষেধে পুলিশ সদস্যরা ভীত নন। তিনি প্রশ্ন করেন, পুলিশ বাহিনীর কত সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বা ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে? এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ আইনের মধ্যে থেকে কাজ করবে। অতীতে তারা যেভাবে কাজ করেছে।

মার্কিন ভিসা নীতি সামরিক বাহিনীতে কোনো বার্তা দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যখন কোনো দায়িত্ব পালন করেন, তখন তারা আইনি কাঠামোর মধ্যেই তা করার চেষ্টা করেন। এর যেকোনো লঙ্ঘন অভ্যন্তরীণভাবে মোকাবেলা করা হয়। আমরা ভিসা নীতি নিয়ে চিন্তিত নই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতেও তাই করব।