ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নানা ভাবে দমন, পীড়ন চালাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বং/স করে বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষকে জিম্মী করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই গু/ম, হ/ত্যা, মা/মলা দিয়ে তাকে দমন করছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিবমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারত গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তা করবে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতিঝিল-পল্টন-শাহজাহানপুর থানা যৌথ উগ্যোগে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হ/ত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমরা মনে করি ভারত আমাদের প্রতিম বন্ধু। আমি আশা করি, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যু/দ্ধে যে সহযোগিতা করেছিল ভারত, তারা অবশ্যই এদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, আমরা ভাবলাম, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারতে গেছেন। আমাদের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির সমাধান হবে, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আমরা পাব, সীমান্তে হ/ত্যা বন্ধ হবে। বাণিজ্যে আমাদের যে ব্যবধান রয়েছে তা কমে আসবে। আমাদের আরও সুযোগ-সুবিধা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে আসতে পারবেন। তিনিও যে আশা নিয়ে গিয়েছিলেন, ভারত সেগুলো দিয়ে দেবে। ভারত তো এখন তাদের ওপর খুশি নয়। নৃত্যগীতে ভরপুর একটা সফর দিয়েছেন, সফরটা নৃত্যগীতে ভরপুর ছিল। আমার দেশের মানুষ যখন মা/রা যাচ্ছে, যখন গু/লি করে হত্যা করা হচ্ছে, যখন মাকে তার সন্তান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তখন তারা জয়পুর বিমানবন্দরে গিয়ে নাচানাচি করছেন। এই দেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবে না।
কারণ গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে আমরা ওটাই প্রত্যাশা করি। আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা এবং এদেশের মানুষের সমর্থন ছাড়া এখানে কেউ কিছু করতে পারবে না।তাই আজকে যে ভয়াবহ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে… তাদের সরাতে হলে আমাদেরকে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ওদেরকে সরিয়ে এখানে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিকে পা/কিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে সরকারের কর্মকাণ্ড এবং দেশের আর্থিক খাতে শাসকগোষ্ঠীর দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব টাকা দুর্নীতিবাজরা লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। এখন ব্যাংকে টাকা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। গত মাস থেকে আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি তা চলছে। আমাদের আন্দোলন চলবে। ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে বা জোনে আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ করব, যা আজকের এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। ২৭ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন জোনে এই সমাবেশ কর্মসূচি চলবে। এরপর সারাদেশে আরও বড় কর্মসূচি দেব। আসুন, আমরা এই কর্মসূচিতে শরিক হই এবং একযোগে আওয়াজ তুলি- ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে রাজপথে। টেক ব্যাক, টেক ব্যাক, বাংলাদেশ বাংলাদেশ।
মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ শাহবাগ-পল্টন-মাটিঝিল থানা আওয়ামী লীগ নেতা মো. সঞ্চালনা করেন এস কে সিকদার কাদির। আর বক্তব্য রাখেন মহাগড়ের নেতারা।
প্রসঙ্গত, সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে কিন্তু এবার আর সে সুযোগ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরোও বলেন, এদেশের জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা থেকে হটানো হবে।