ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতীয়দের তার বন্দর (চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর) ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে।
গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
বাংলাদেশের সাথে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আপনি যদি আজ বাংলাদেশে যান, আপনি দেখতে পাবেন দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলছে… বাস চলছে…।” ভারতীয়দের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। ভারতের উত্তর-পূর্বে (অর্থনীতি) বিশাল প্রভাব।
এস. জয়শঙ্কর বলেন, “এটি (বাংলাদেশের অনুমতি) না থাকলে, উত্তর-পূর্বের মানুষদের শিলিগুড়ি দিয়ে আসতে হতো এবং তারপর ভারতের পূর্বাঞ্চলের বন্দরে যেতে হতো।” তারা এখন চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আগরতলা-আখাউড়া রেললাইন বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে যাতায়াতের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে।” বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার, পণ্য পরিবহন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ (দুই দেশের) বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সংযোগ এবং সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পের প্রতি অভিন্ন আবেগ ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করে।
নেপাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “নেপালের বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করা দেশের জন্য খুবই ফলপ্রসূ লেনদেন।” তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা আছে। প্রতিযোগিতায় ভয় পাবেন না। প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানো উচিত। এবং এটা বলা উচিত যে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা আছে।