টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান। তিনি তার বিয়ের পর থেকে প্রায়ই আলোচনায় রয়েছেন। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, একজন সাংসদও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। কয়েকদিন আগে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু এই পুত্র সন্তানের পিতার বিষয়ে তিনি এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি। বিচ্ছেদ, প্রেম এবং তার মা হওয়ার খবর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক শিরোনাম হয়েছে। তবে তাকে নিয়ে আলোচনায় আসা বিষয়গুলো ঢেকে গেছে নুসরাতের সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সোচ্চার ও সরব হওয়ার জন্য।
তবে এবার সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনে বেশ মনোযোগী হয়েছেন এ নায়িকা। তিন মাসের ছেলেকে ঘরে রেখে ভারতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তিনি।
আর সংসদে হাজির হয়েই নুসরাত ঝাঁজাল বক্তব্য দিলেন নুসরাত, যা আলোড়ন ফেলেছে ইতোমধ্যে। ভাইরাল হয়ে গেছে ভারতজুড়ে। সংসদে মোদি সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন নুসরাত, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো কেন বেসরকারীকরণ করা হচ্ছে?
অধিবেশনে নুসরাত জাহান বলেন, ‘লাভজনক সংস্থাগুলোর ওপরে সরকারের এ সিদ্ধান্ত কেন? বেসরকারীকরণ যদি করতেই হয়, তা হলে আর্থিক ক্ষতির শিকার যেসব সংস্থা, সেগুলোকে কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে না? এভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরাও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়ছেন।’
উল্লেখ্য, ভারতের কোল ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া, সেলের মতো একাধিক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা। ভবিষ্যতে আরও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারীকরণ হবে— এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
আর শুরু থেকেই ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে মমতার দল তৃণমূল। দলটির পক্ষ থেকে সংসদে ফের সেই প্রশ্ন রাখলেন তৃণমূলের এই সংসদ সদস্য।
ভারতের আলোচিত রাজনীতিবিদ এবং বারবার নির্বাচিত মমতার দল তৃণমূল। অনেক আগে থেকেই এই দলটি কেন্দ্রীয় সরকারের বেশকিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবারও ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদ অধিবেশন চলাকালে পুনরায় সেই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের এই এমপি। নুসরাত জাহানসহ যেসব অভিনেত্রী এবং অভিনেতা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব থাকতে দেখা গেছে নুসরাত জাহানকে। যেটা তাকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।