ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের অতি পরিচিত একজন মুখ। তিনি হলেন বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠিতা। বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক সুস্থতার কথা চিনতে করেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একাধারে একজন রাজনীতিবীদ, চিকিৎসক এবং মুক্তিযোদ্ধা। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন স্লুইস গেটগুলো খুলে দিয়ে ভারত রাজনৈতিক অপরাধ করেছে।
গজল ডোবার সব স্লুইস গেট খুলে দিয়ে রাজনৈতিক অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের না জানিয়ে গজল দোবারের সব স্লুইস গেট খুলে দেওয়া ভুল। তারা রাজনৈতিক অপরাধ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। বন্যা, খরা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বাজেট প্রসঙ্গে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ যে ভুল করছেন তা আমাদের বোকা বানাচ্ছেন। বাজেট থাকলে গণতন্ত্র কীভাবে আসবে তার কোনো কথা নেই। নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে। তারা তা দখল করবে। সব ক্ষেত্রেই ভুল। ক্ষুদ্র খামার শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তার চেয়েও বড় কথা, ১২-১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এখন তা ২৫ লাখে পরিণত হয়েছে। আর আগামী ১০ বছরে তা বাড়বে, সে জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
“এটি একটি ভাল জিনিস আমাদের একটি পরিসংখ্যান বিভাগ আছে যেটি তার বাজেটের ৮০ শতাংশ কেটেছে,” তিনি বলেছিলেন। কারণ সে দেখতে খারাপ আর কত মিথ্যা বলা যায়। সে জন্য পরিসংখ্যানের বাজেট ৮০ শতাংশ কমিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগে কোনো আইন নেই, আলেমদের কোনো জামিন নেই। তাই আইন বিভাগ বাজেট কাটছাঁট করেছে কারণ যাদের মেরুদণ্ড শক্ত নয় এমন বিচারকদের টাকা দিয়ে লাভ কী।
জনগণের অধিকার ফিরে পেতে সরকারকে রাজপথ দখলে বাধ্য করতে হবে। জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশকে ১৫ থেকে ১৬টি প্রদেশে ভাগ করতে হবে। তারপর দেখা যাবে এখানে যারা উপস্থিত আছেন তাদের মধ্যে দু-একজনও মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মুখ্যমন্ত্রী হলে নতুনত্ব দেবেন। আমাদের সততা আনুন, একটি উদাহরণ স্থাপন করুন. ঘুষ কমানো, দুর্নীতি কমানো। তুমি আমাদের ভবিষ্যৎ। তোমার ভবিষ্যৎ বিজয়ের পথে আমি তোমার সাথে আছি।
প্রসঙ্গত, স্লুইস গেটগুলো খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের অনেক জেলা পানির নিচে চলে গেছে আর এতে করে অসংখ্য মানুষ পোহাচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। ঘর-বাড়ি হারি্যে মানুষ হয়ে পড়েছে দিশেহারা। এমনকি পানিতে ডুবে অনেকে হয়েছেন প্রয়াত।