লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার একটি এলাকায় বিয়ের দাবি নিয়ে আপন ভাইয়ের ছেলের (ভাতিজা) বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেছেন চাচী। এতে করে এই ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার অর্থাৎ ২৪ আগস্ট ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই উপজেলার সারডুবি নামক গ্রামে জহিরুল ইসলামের বাড়িতে লোকজন আসতে থাকে এবং এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই বাড়িতেই অনশন করছিলেন ওই নারী। জাকিরুল ইসলাম ওই গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে। তিনি এলাকায় রঙের কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানান, তিন সন্তানের জনক জাকিরুল ইসলামের সঙ্গে তার নিজের চাচীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল চার বছর ধরে। তাদের সম্পর্কের খবর জানাজানি হলে ১১ আগস্ট চাচা তার স্ত্রীকে তা’লাক দেন। বিচ্ছেদের ১২ দিন পর দুই সন্তানের জননী, চাচী বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা জাকিরুল ইসলাম পালিয়ে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জাকিরুল বাড়িতে ও বাড়ির বাইরে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার শারীরিক স’ম্পর্ক করে। বিয়ের কথা বলায় মঙ্গলবার বাড়িতে আসতে বলে, তাই আমি এখানে এসেছি। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আ”ত্মহনন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
ওই নারীর বাবা বলেন, সবকিছু আমার মেয়ের ওপর নির্ভর করছে। মেয়েটি জানিয়েছে যে, ঐ ছেলেটি কুরআন নিয়ে শপথ করেছিল যে সে তাকে বিয়ে করবে। অভিযুক্ত জাকিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল যিনি বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, আমি ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সাবলুর মাধ্যমে ঘটনাটি শুনতে পেরেছি। এ বিষয় নিয়ে ওই গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক বসেছে। অপরদিকে শাহ আলম যিনি হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। তবে অভিযোগ করা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।