বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক। তবে গেলো বেশ কিছু মাস ধরে এই ইসলামী ব্যাংক নিয়েই চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা আর শংকা। ৫টি শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ আমানত বা সিআরআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন, সোস্যাল ইসলামী এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যর্থ হওয়া ব্যাংকগুলিকে এখন বিশাল জরিমানা দিতে হবে। এসব ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের আমানত উত্তোলনের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যমান নিয়ম অনুসারে, একটি ব্যাংককে দৈনিক ভিত্তিতে মোট কল এবং মেয়াদী আমানতের ৩.৫ শতাংশ এবং দ্বি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৪ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবিধিবদ্ধ নগদ আমানত বা সিআরআর হিসাবে বজায় রাখতে হবে। যদি কোনো ব্যাঙ্ক করার সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে ৫ শতাংশ এবং সংরক্ষিত না থাকা অংশের উপর ৯ শতাংশ হারে জরিমানা সুদ দিতে হবে।
আর সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ বা এসএলআর হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ এবং প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে ১৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে, ব্যর্থ অংশের উপর বিশেষ রেপো বা ৮.৭৫ শতাংশ জরিমানা আরোপ করা হয়। দণ্ডের সুদ বা জরিমানা মওকুফ করার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১২১ ধারার অধীনে সরকারকে জরিমানা মওকুফের সুপারিশ করতে পারে।
এ দিকে ইসলামী ব্যাংকের এই অবস্থার জন্য ব্যাংকের গ্রাহকরাও পড়েছেন বেশ হতাশায়। অনেকে আবার ভয়ে তুলে নিচ্ছেন তাদের জমানো সব অর্থ। জানা গেছে এ নিয়ে সরকার নিতে শুরু করেছে ব্যাপক পদক্ষেপ।