২০১৬ সালে, মাইইজি রিহায়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে কয়েক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী দেশে বৈধ মর্যাদা লাভ করে। এরপর প্রতি বছর ভিসা নবায়ন করা গেলেও ২০২৩ সালে সরকার ভিসা নবায়ন বন্ধ করে দেয়। এতে সমস্যায় পড়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সেলাঙ্গর স্টেট (শাহ আলম) ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২ দশমকি ০ প্রোগ্রাম পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন এ কথা বলেন।
এসব অনিয়মিত প্রবাসীরা বৈধ মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তাদের একটি অংশ পুনঃক্যালিব্রেশনের মাধ্যমে ভিসা পেলেও একটি বড় অংশ এখনো ভিসা পায়নি।
তারা ভিসা পাওয়ার আশায় আরটিকে ২ দশমিক ০ প্রোগ্রামে নিবন্ধন করেছে এবং সরকার তাদের ভিসা দিতে সম্মত হয়েছে, অভিবাসীদের স্বস্তি এনেছে। বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন প্রবাসীরা। সরকার ঘোষণা করায় তারা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
মালয়েশিয়ায় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য এই বৈধকরণ কার্যক্রম ৩০ জুন শেষ হবে। আরটিকে ২ দশমিক ০ প্রোগ্রামের অধীনে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে যারা তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া এই বছরের ৩১মার্চ শেষ হবে। তারপরে, ৩০ জুনের মধ্যে ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২ দশমিক ০) প্রোগ্রামের অধীনে অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেস) জারি করা হবে।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব দাতুক হাজি রুজি বিন হাজি উবি, ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন বিন জুসোহ, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অব ইমিগ্রেশন (নিয়ন্ত্রণ) কেন লেবেন ও এবং সেলাঙ্গর স্টেট ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর তুয়ান খায়রুল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমিনুস বিন কামরুদ্দিন।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২ দশমিক ০) প্রোগ্রামের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। নিবন্ধন প্রক্রিয়া পুরো এক বছর ধরে চলে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সাত লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী আবেদন করেছেন। আরটিকে ২ দশমিক ০ প্রোগ্রামের জন্য কতজন বাংলাদেশি আবেদন করেছে তা জানা যায়নি। তবে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়ার আওতায় প্রথম স্থানে আসবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।
অভিবাসন বিভাগ বলেছে যে যারা মাইইজিতে বৈধতা দেওয়ার পরে ভিসা নম্বর ৫ পেয়েছেন কিন্তু ৬ বা ৭ নম্বর ভিসা পাননি তারা মাইইজির মাধ্যমে তাদের ভিসা পুনরায় নবায়ন করতে পারবেন।