মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্তত দুই শতাধিক দেশের ৯ মিলিয়নেরও বেশি প্রবাসী কাজ করছেন। প্রবাসীরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করে পরিবার নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুবিধা ভোগ করছেন।
কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার আদর্শ গন্তব্যে পরিণত হওয়ার সুদূরপ্রসারী ও প্রবাসীবান্ধব পরিকল্পনা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি দেশটি চারটি ক্যাটাগরিতে অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে যারা গ্রিন ভিসার আওতায় যাবেন তাদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১৫ হাজার দিরহাম, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ কমপক্ষে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। খবর খালিজ টাইমস।
ইউএই গ্রিন ভিসা স্কিমের অধীনে রেসিডেন্সি পারমিট। এর মাধ্যমে, উচ্চ দক্ষ অভিবাসী, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, সেরা পারফরম্যান্সকারী ছাত্র এবং স্নাতকদের কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তি ছাড়াই স্বাধীনভাবে আমিরাতে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এটি মূলত মেধাবী প্রবাসীদের আনার জন্য দেশটির সরকারের নেওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ফ্রিল্যান্সার, সেলফ স্টার্টাররা এই ক্যাটাগরির অধীনে আবেদন করতে পারবেন। গ্রিন ভিসার আওতায় যারা যাবেন তাদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১৫ হাজার ইউএই দিরহাম, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ কমপক্ষে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ওয়ার্ক ভিসার অধীনে একটি সাধারণ কর্মসংস্থান ভিসা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি যদি দুবাইতে প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করে থাকেন বা পাবলিক সেক্টরে বা অর্থনৈতিক মুক্ত অঞ্চলে কাজ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পের অধীনে, উচ্চ দক্ষ এবং পেশাদারদের তাদের পরিবারের সাথে দীর্ঘ সময় দেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। এই ভিসার মাধ্যমে, প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ১০ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস, কাজ এবং পড়াশোনা করতে পারবেন। আমিরাতে আসার পর এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছর বাড়ানো যাবে।
আপনি যদি দেশে একজন গৃহকর্মী হিসাবে নিযুক্ত হতে চান তবে আপনাকে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার ভিসার অধীনে আবেদন করতে হবে। এই ভিসা নীতির লক্ষ্য গৃহকর্মীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। গৃহকর্মীরা সাধারণত তাদের নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে বিশেষ পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে দেশে আসেন।