আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বিতীয় ধাপের ৬৮১ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। আর ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লক্ষ ডলার। বাকি টাকা পাঁচ কিস্তিতে পাওয়া যাবে।
গত অক্টোবরে ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় আইএমএফ বোর্ডে দ্বিতীয় ঋণের একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ ছয়টি পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। দুই শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে কেন পারেনি তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে আইএমএফ থেকে।
যে শর্তগুলি পূরণ করা যায়নি তার মধ্যে একটি হল জুনের শেষে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ন্যূনতম রিজার্ভ বজায় রাখা। প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে কারণ মজুদ জ্বালানি, সার এবং খাদ্য আমদানিতে ব্যয় করতে হয়েছিল।
আর ন্যূনতম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের অন্তত ৩৪৫,৬৩০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল।
অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা কম।
কিন্তু দুই শর্ত পূরণ করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছে বাংলাদেশ।