বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। এর পরে, তিনি সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের কাছে ফিরে যান। সেখানে কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন টাইগার অধিনায়ক।
গত ২১ নভেম্বর সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসেন সাকিব। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২৪ ঘন্টা পর, তিনি হোম অফ ক্রিকেটে হাজির হন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপর বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে কি নিয়ে বৈঠক হয়েছে তা কেউ জানায়নি।
আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়ে বিসিবিতে আসেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলের চোট নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেন সাকিব। এই ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন তিনি।
আঙুলে চোট পাওয়া সাকিব মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে দেখা করেছেন। সদ্য হাতে ব্যান্ডেজ করা। তিন সপ্তাহ পর নতুন স্ক্যানেই জানা যাবে সাকিব অ্যাওয়ে সিরিজে খেলবেন কি না।
এদিকে সাকিবের অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিসিবি সূত্র বলছে, সাকিব আল হাসান বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর ওয়ানডেতে অধিনায়ক থাকবেন না।
আগামী ২৮ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ৬ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুরের ‘হোম অফ ক্রিকেট’ শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ।
এরপর ১১ বা ১২ ডিসেম্বর ফিরতি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। সফরে সাকিবের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, যেখানে তিনি ৩টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছেন। সেই সিরিজে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নির্ভর করছে এক সপ্তাহ পর আঙুলের এক্স-রে করার ওপর।