বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা প্রকাশিত হলে নতুন করে তদন্তের দাবি জানাতে পারে। আর এ কারণে প্রতিবেদনের কপি বোর্ড পরিচালকদের দেওয়া হয়নি। ক্রিকেটারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি বিশ্বকাপ দলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দুই পরিচালকে দায়ী করে।
জানা গেছে, বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটাররা। যা মূল্যায়ন কমিটিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
এনায়েত হোসেন সিরাজের মূল্যায়ন কমিটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকাপে জড়িত সবার সাক্ষাৎকার নেয়। দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু (সাবেক), নির্বাচক হাবিবুল বাশার শুরুতেই সাক্ষাৎকার নেন। অবশেষে সাক্ষাৎকার নেওয়া হলো অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের।
বিশ্বকাপ দলের সদস্য না হলেও মূল্যায়ন কমিটির মুখোমুখি হতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি। মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরো ঘটনাটি তামিম নিজের মতো করে বর্ণনা করেছেন।
বিসিবি সভাপতি ও তামিমের মধ্যে বিবাদের পেছনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দায় খুঁজে পেয়েছে কমিটি। বিশ্বকাপে তামিমের না থাকায় দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
বিসিবির একজন পরিচালক জানিয়েছেন, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজার পরামর্শে দ্বিতীয় পর্বে হাথুরুসিংহেকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অধিনায়ক কোচের পূর্ণ সমর্থন না পাওয়ায় দূরত্ব বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি খারাপ হতেই হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙেও নেতৃত্ব ছাড়েন তামিম। কিন্তু কোচ চাননি তামিম বিশ্বকাপ খেলুক।
মূল্যায়ন কমিটির একজন বলেছেন, ক্রিকেটারদের একাংশ মনে করেন, ক্রিকেটারদের একাংশ মনে করছেন বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে দল হিসেবে ভালো খেলতে পারেনি দল। এটা অধিনায়ক সাকিবের ইচ্ছায়।
হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মতে, সাকিবও একই ধরনের হেড কোচদের টেবিলে নিয়ে এসেছেন।