সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যু্/দ্ধের কারনে বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বিশ্বের বহুদেশ অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশেও অন্যান্য দেশের মতই একই ভাবে প্রভাব পড়েছে। সে কারনে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে যু্/দ্ধের কারনে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। বিশ্ব মন্দার কারনে তৈরী হওয়া সংকট নিরসনে ব্যয় কমানোর জন্য যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দাসহ সংকটময় পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে, সেজন্য সতর্কতামূলক সাত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের সঙ্গে ব্যয় কমানোর বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. সরকারি সব অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ কমানো হবে।
২. বেশিরভাগ মিটিং অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
৩. যতটা সম্ভব বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মজুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অন্যান্য পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার পরিহারের উপায় বের করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান ড. আহমদ কায়কাউস।
৬. অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআরকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ক্রয় পরিকল্পনা পুনঃপর্যালোচনা করে রাজস্ব ব্যয় হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব মন্দার কারনে অর্থনৈতিক ঝুকি থেকে দেশকে রক্ষা করতে ব্যয় নিয়ন্ত্রের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। আর এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সকল মন্ত্রালয়কে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হবে।