দেশের সেরা ক্রিকেটার এবং বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ক্রিকেট মাঠে যেমন নিজেকে একটি ভালো অবস্থানে রেখেছেন ঠিক তেমনি করে কর্পোরেট জগতেও নিজের অবস্থান শক্ত করছেন। ব্রোকারেজ হাউস ও স্বর্ণ আমদানি কোম্পানিসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকার পর তিনি এবার দেশের ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি একটি ব্যাংকের মালিক হ্তে যাচ্ছেন।
দেশের অন্যতম একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের দুই পরিচালকের মালিক হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট জগতের এই তারকা। শুধু সাকিব আল হাসান নন, তার মা শিরিন আক্তারও ব্যাংকটির পরিচালক হিসেবে থাকছেন। পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট নথি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এমএ কাশেম ওই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় সাকিব আল হাসান ও তার মা যুক্ত হচ্ছেন। এরই মধ্যে আমরা তাদের ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সাকিবের মতো একজন তারকাকে উদ্যোক্তা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের। এখনই আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সব ব্যাংকের মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সে হিসেবে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে হলে সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে জমা রাখতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী হিসেবে সাকিব আল হাসানের হাতেখড়ি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে। এরপর দ্রুত নিজের ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন তিনি। শেয়ারবাজার, স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম সারির তারকা হিসেবেই নন, তিনি ইতিমধ্যে তার ব্যবসায় সফলতাও পেয়েছেন। ব্যাংকিক খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে তিনি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীর কাতারে নিজেকে নিয়ে গেলেন। এই ক্রিকেট তারকা নিজেকে শেষ পর্যন্ত একজন ব্যবসায়ী হিসেবে দাঁড় করাবেন এমনটি মনে করছেন তার ভক্তরা।