সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের কারনে অর্থনৈতিক মন্দার তৈরী হয়েছে সারা বিশ্বে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বের উন্নত দেশেগুলো ইতিমধ্যে হিমসিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ছে যার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিন্তু উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের মতো দেশে এর প্রভাব অনেক বেশি পড়ে। দেশের জনগণের কথা ভেবে ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ীদের জ/ন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানি-রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমাদের ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক না কেন, আমরা সেখানে দলকে বেছে নিতে যাইনি। আমরা যে কোনো দলের জন্য পরিবেশ তৈরি করেছি যাতে তারা ব্যবসায়ী হয়ে ব্যবসা করতে পারে।
তিনি বলেন, “এখানে কোনো হাওয়া ভবন নেই, এবং পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কোনো উন্নয়ন শাখা নেই যে এক ভাগ হাওয়া ভবনকে দিতে হবে, এক ভাগ উন্নয়ন ভবনকে দিতে হবে বা অমুক খানে দিতে হবে ।” আপনাদের আর এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না। আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, সবাই সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত। ‘
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন লাভের কথা ভাবুন। আগে একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেত। এখন সেই হাওয়া হওয়ার উ/পায় নেই। সেখান থেকে সবাইকে মুক্ত করেছি। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই যদি মনে করেন দেশের কথা চি/ন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চি/ন্তা করে….
তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনি ১৪ বছর ধরে একটানা লাভজনক ব্যবসা করছেন, এখন… কিন্তু আমরা বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের সময়ও এর মোকাবেলা করলাম। আমি প্রণোদনা দিয়েছি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, কেউ আমার কাছে এসে দাবি করেনি। কেউ বলেনি কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটি দল দুর্দান্ত কাজ করছিল – কোথায় কী করা যেতে পারে। আমার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। ‘
শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের শিল্প, সব কার্যক্রম, সবকিছু বন্ধ করে দেয়। আমরা বলেছি, এখানে বন্ধ হতে দেব না, আমার এখানেই চালিয়ে রাখতে হবে। শ্রমিকদের সব মজুরি, সব পোশাক শিল্পের বেতনও দিয়েছি । প্রণোদনা প্যাকেজ করেছি, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের মানুষের জন্য ভাবার কথা সহনশীল হওয়ার কথা জানান ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসা করেন কিন্তু দেশের মানুষের বিষয়টি মাথায় রেখে।