সম্প্রতি নানা কারনে তরুণ-তরুণীরাসহ বিভিন্ন বয়সের নারীরা আ/ত্মহননের মতো অপ্রীতিকর ঘটনায় ঘটাচ্ছে। সাংসারিক জটিলতা, মানসিক অবসাদগ্রস্থসহ নানা সমস্যায় পড়ে এমন পথ বেঁছে নিতে দেখা যাচ্ছে তাদের। বিষয়টি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে থাকে। এবার তেমন ঘটনায় জড়াল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছন্দা রায়।
স্বামীর বাসা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছন্দা রায়ের ঝুলন্ত ম/রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার ম/রদেহ ঢাকার মুগদা এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ছন্দা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। ঢাকার মুগদায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। ছন্দার ম/রদেহ বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, তিন মাস আগে ছন্দা রায়ের বিয়ে হয়। তার স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁ/স দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ/ত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তার স্বামী।
ওই বিভাগের অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, মৃত্যুর খবরটি আমরা মেনে নিতে পারছি না। তিন মাস হলো মাত্র বিয়ে হয়েছে। এরই মধ্যে সে আ/ত্মহত্যা করেছে। কী এমন হয়েছে তার সঙ্গে জানি না। তার মৃ/ত্যুর জন্য সমাজ, পরিবার ও তার স্বামী দায়ী।
প্রসঙ্গত, ওই শিক্ষার্থীর আত্মহননের কারন সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি পুলিশ । তবে তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে
জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য।