দীর্ঘ ধরে বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের হয়ে খেলছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়ক থাকাকালীন সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি ম্যাচও জিতিয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে দলের হয়ে তিনি সর্বচ্চ ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। সম্প্রতি তার পারফম্যান্সে ভালো যাচ্ছে না যে কারনে তাকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।যার কারনে তিনি দলের নেতৃত্বও হারিয়েছেন। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিয়ে যেসব কারন দেখালো কতৃপক্ষ।
অবশেষে টি-২০ দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে ছাড়াই আসন্ন বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে নেই তিনি।
কিছুদিন আগেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এবার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে জায়গা হারিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট এ সংস্করণে রিয়াদের সাম্প্রতিক ফর্মের কারণেই নির্বাচকদের মন কাড়তে পারেনি মাহমুদউল্লাহ। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আরও বলেন, রিয়াদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা পূরণ করেনি।
মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, সে আমাদের অনেক ভালো ভালো খেলা উপহার পেয়েছে। আমাদের বর্তমান যে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট, তিনি এক বছরের যে পরিকল্পনা আমাদের দিয়েছেন, সেটা মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি। সেই অনুযায়ী টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সকলের সম্মতিতে মাহমুদউল্লাহকে বাইরে রাখা হয়েছে।’
রিয়াদকে বাদ দিতে দেরি হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘দেরি না। ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো ম্যাচ আমরা খেলেছি। কিছু ক্রিকেটারের ইনজুরিও ছিল, যা আমরা গত ছয় মাসে যথেষ্ট ভুগছি। এই ভোগার জন্য অনেকগুলো ক্রিকেটারকে আবার ডাকা হয়েছে, অনেকভাবে দেখা হয়েছে। আমাদের একটি সমস্যা আছে. এখন পর্যন্ত আমরা এই ফরম্যাটে অনেক পিছিয়ে, তবে এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবার সম্মতিতেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এরপর থেকে এই সংস্করণে ছন্দে নেই তিনি। বিশ্বকাপের পর থেকে ১১টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১৬.৫৪ গড় এবং ১০২.৮২ স্ট্রাইক রেট খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সাল থেকে এ সংস্করণে খেলে আসা মাহমুদউল্লাহ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১২১টি ম্যাচ, বাংলাদেশের হয়ে যেটি সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়াতে এ সংস্করণে ভবিষ্যৎটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়ল তার। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ছিলেন অধিনায়ক
এশিয়া কাপে দুই ইনিংসে ৫২ রান করেন রিয়াদ। ৫২ রান করার সময় তিনি ৪৯ বল খেলেন, স্ট্রাইক রেট ১০৬.১২। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেটা শুধুই বলের অপচয়। ব্যাটিংয়ের মতো ফিল্ডিংয়েও ভালো করতে পারছেন না রিয়াদ। গত আফগানিস্তান ম্যাচেও ক্যাচ মিস করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তার পারফম্যান্সে খুশি না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কতৃপক্ষ বলে জানা যায়। তবে এই সিদ্ধান্তে সবার সন্মতি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।